ঢাকা , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ , ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​ট্রাম্পের শুল্কে বাড়তে পারে আইফোনের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১১-০৪-২০২৫ ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১১-০৪-২০২৫ ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন
​ট্রাম্পের শুল্কে বাড়তে পারে আইফোনের দাম ​ফাইল ছবি
চীনের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনসহ জনপ্রিয় প্রযুক্তি পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি বাজারে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ শুল্কের বোঝা যদি সরাসরি গ্রাহকদের ওপর চাপানো হয়, তবে একটি আইফোনের দাম কয়েকশ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অ্যাপলের ৮০ শতাংশ আইফোনই তৈরি হয় চীনে। বাকি ২০ শতাংশ ভারতে। চীনের ওপর নির্ভরতা থাকায় অ্যাপল এ শুল্ক নীতির সরাসরি প্রভাবের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপল এরইমধ্যে ভারত থেকে ৬০০ টনেরও বেশি আইফোন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। এটি চীনের বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভারতের গুরুত্বকেই তুলে ধরে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুল্ক কার্যকর হলে ২৫৬ জিবি আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্সের দাম ১১৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ১৯৯৯ ডলারে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, ভারতে তৈরি ১২৮ জিবি আইফোন ১৬ প্রোর দাম ৯৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ১০৪৬ ডলার হতে পারে।

বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনের জন্য অ্যাপলকে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। পুরো সাপ্লাই চেইনের মাত্র ১০ শতাংশ স্থানান্তর করতেও লাগবে তিন বছর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বাড়লে মোবাইল অপারেটররা দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি চালু করতে পারে। এখন যেখানে ফোন চুক্তির মেয়াদ ২ বছর, তা বাড়িয়ে ৪–৫ বছর পর্যন্ত করা হতে পারে। ফলে স্মার্টফোন কেনা অনেকটা মর্টগেজ নেয়ার মতো হয়ে যাবে।

এদিকে কিছু ক্রেতা আগেই আইফোন কিনে রাখছেন দাম বাড়ার আশঙ্কায়। কেউ কেউ সেকেন্ডহ্যান্ড বা পুরোনো ফোন ব্যবহারের কথাও ভাবছেন। ২০২৫ সালে শুধু যুক্তরাজ্যেই ৫৫ লাখ পুরোনো স্মার্টফোন বিক্রি হতে পারে বলে অনুমান করছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।

অ্যাপল এখনো জানায়নি তারা শুল্কের খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবে কি না। তবে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী এক দামে পণ্য বিক্রি করার নীতিতে বিশ্বাসী, যাতে এক দেশ থেকে কম দামে কিনে অন্য দেশে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ না থাকে।

বিশ্লেষক দীপাঞ্জন চ্যাটার্জী মনে করেন, অ্যাপল অল্প কিছু শুল্কের খরচ নিজেই বহন করতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে তারা দামের ভার গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিতেও বাধ্য হতে পারে।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতি কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারেই প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, অ্যাপল এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেয়— আর তার প্রভাব ভোক্তাদের ওপর কতটা পড়ে।


বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ